নীল মানুষের কাহিনি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় 'নীল মানুষের কাহিনি' গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর এখানে দোতলার বারান্দায় পাপু একা-একাই একটা বল নিয়ে খেলছিল। একবার বলটা রেলিং টপকে পড়ে গলে পেছনের মাঠে। পেছন দিককার মাঠটায় বড়-বড় ঘাস জন্মে গেছে। মাঠের ওপাশে বড় বড় গাছের একটা বাগান। সেখানে আম, জাম, লিচু গাছ ছাড়াও অনেকগুলো বাঁশ গাছ আছে। সেই বাঁশবনে নাকি রাত্তিরবেলা শাঁকচুন্নিরা আসে। তারা মাঝ রাত্তিরে নাকি সুরে শিয়ালের মতন গান গায়। এদিকে পাপুর একা যাওয়া নিষেধ। এখন কেউ দেখছে না বলে পাপু মাঠে নেমে এল বলটা খুঁজতে। কিন্তু বলটাকে দেখতে পেল না। নিশ্চয়ই ঘাসের মধ্যে লুকিয়েছে। বলগুলো মাঝে-মাঝে ইচ্ছে করে লুকিয়ে পড়ে। বলটা খুঁজতে খুঁজতে পাপু চলে এল বাগানের কাছে। তারপরই থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল। একটা বড় জামরুল গাছের পাশে লুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটা লোক। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাদের বাড়ির দিকে। পাপু প্রথমে ভেবেছিল নিশ্চয়ই লোকটা চোর। তারপরই মনে হল, চোর নয়, একটা দৈত্য। কিংবা বকরাক্ষস। লোকটা দৈত্যের মতনই লম্বা, মাথায় বড় বড় চুল, গায়ের রং একদম নীল। কোনও মানুষের রং ওরকম হয় না। জানলা-দরজা রং করার মতন কেউ
Comments
Post a Comment