Skip to main content

ভৈরবের ব্যবহার আশ্চর্যজনক সন্দেহ নেই

"ভৈরবের ব্যবহার আশ্চর্যজনক সন্দেহ নেই"

i) লেখকের আসল নাম লেখো। ক্যানভাসার কাদের বলে। ii) ভৈরব কে? সে কী কাজ করে? iii) ভৈরব কার সঙ্গে, কী ব্যবহার করেছিল? সেটি 'আশ্চর্যজনক' ছিল কেন? iv) তার আশ্চর্য ব্যবহারের পর কোন ঘটনা ঘটল?
ভৈরবের ব্যবহার আশ্চর্যজনক সন্দেহ নেই

i) লেখকের আসল নাম লেখো। ক্যানভাসার কাদের বলে।
ii) ভৈরব কে? সে কী কাজ করে?
iii) ভৈরব কার সঙ্গে, কী ব্যবহার করেছিল? সেটি 'আশ্চর্যজনক' ছিল কেন?
iv) তার আশ্চর্য ব্যবহারের পর কোন ঘটনা ঘটল?

Answer :

i) লেখকের আসল নাম লেখো। ক্যানভাসার কাদের বলে :

উদ্ধৃত অংশটি  প্রখ্যাত গল্প লেখক বনফুলের লেখা ক্যানভাসার গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। লেখক বনফুল-এর আসল নাম বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়।

'ক্যানভাসার' বলে তাদের, যারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে জিনিসপত্র বিক্রি করে। চলতি বাংলায় তাদের বলা হয় ফেরিওয়ালা।

ii) ভৈরব কে? সে কী কাজ করে?

'ক্যানভাসার' গল্পের প্রধান চরিত্র ভৈরব কোন এক পল্লীগ্রামের একজন সাধারণ গৃহস্থ মানুষ। স্ত্রী কাত্যায়নীর সঙ্গে তার নিত্য অন্তর্বিপ্লব ঘটে।

ভৈরব একজন বেকার যুবক। স্ত্রী কাত্যায়নীর কথায়, 'যার  হাই তুলতে চোয়ালে খিল ধরে'।

iii) ভৈরব কার সঙ্গে, কী ব্যবহার করেছিল? সেটি 'আশ্চর্যজনক' ছিল কেন?

ভৈরব তার গ্রামে দাঁতের মাজন সহ নানান শৌখিন জিনিস বেচতে আসা  ক্যানভাসার হীরালালের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল। 

ভৈরব নবাগত হীরালাল ক্যানভাসারকে পল্লিগ্রামে ঘুরে ঘুরে দাঁতের মাজন বিক্রি করতে দেখে খুব রেগে যায়। হীরালালের দন্তমাজনকে উদ্দেশ্য করে সে বলে, ওসব শৌখিন বাজে জিনিস বিক্রি করে হীরালালের মতো ক্যানভাসাররা দেশটাকে রসাতলে পাঠাচ্ছে। এ নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হলে ভৈরব হীরালালকে গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলে। হীরালালও ছাড়বার পাত্র নয়। সে ভৈরবকে জানায় তার কথায় সে কখনোই গ্রাম ছেড়ে যাবে না। এরপরে অধৈর্য ভৈরব হীরালালের গালে সপাটে এক চড় মারে।

এই ঘটনাটিকেই লেখক 'আশ্চর্যজনক' বলে উল্লেখ করেছেন। আসলে একজন খেটে খাওয়া মানুষকে হীরালাল। দেশের যেকোন স্থানে গিয়ে সৎ ভাবে ব্যবসা করার অধিকার তার আছে। সেই অধিকারে ভৈরব গায়ের জোরে হস্তক্ষেপ করেছে এবং অন্যায় ভাবে তার গালে চড় মেরেছে। এভাবে বিনা কারণে কাউকে চড়মারা যায় না। আর একারণেই লেখক এই ঘটনাকে 'আশ্চর্যজনক' বলে উল্লেখ করেছেন।

iv) তার আশ্চর্য ব্যবহারের পর কোন ঘটনা ঘটল?

ভৈরব হীরালালের গালে চড় মারামাত্র হীরালালের মুখ থেকে কালো বাঁধানো দাঁতের পাটি সবেগে মাটিতে পড়ে যায়। হীরালাল ফোকলা হয়ে যায়। এই ঘটনাটিও আরও বেশি আশ্চর্যজনক বলে মনে হয়েছে লেখকের কাছে। কারণ, যার নিজের দাঁতের ওই অবস্থা, নকল দাঁত লাগিয়ে সে কীভাবে ভালো দাঁতের মাজন বিক্রি করছে দাবী করে! শুধু তাই নয়, হীরালালের কালো গোঁফজোড়াও ছিল রং করা এবং মজার কথা, সে মাজনের সাথে সাথে চুলের কলপও বিক্রি করে। আর এটা সে করে বাধ্য হয়েই। কারণ, এই বুড়ো বয়সে তার উপযুক্ত ছেলেটি অকালে মারা গেছে।
------------xx----------


Comments

Popular posts from this blog

Bengali Question Paper of ICSE Syllabus - 2017

  Bengali Question Paper of ICSE Syllabus - 2017 Section B ( 40 marks) Questions questions from only to of the following textbook are to be answered. Attempt 4 questions from this section. You must answer at least one question from each of the two books, you have study it and any two other questions from the same books that you have chosen.    সংকলিতা - ছোট গল্প Sonkolita - Short Stories. Question 5 : Read the extra given below and answer in Bengali the questions that follow নিচের অংশটি পড়ে প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো। " তাহার ছুটির দিন সম্পূর্ণ মাটি হইয়া গেল "  - গিন্নি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। i) লেখকের অন্য একটি গল্পের নাম লেখো। তিনি কিসের কারণে বিশ্বে খ্যাতি লাভ করেছিলেন? ii) ‘তাহার’ বলতে এখানে কার কথা বলা হয়েছে? iii) কে, কিভাবে তার দিনটি মাটি করেছিল? iv) এর পরবর্তী অবস্থাটি বর্ণনা করো। Question 6 : Read the extract given below and answer in Bengali the questions that follow : নিচের অংশটি পড়ে প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো।  " ভৈরবের ব্যবহার আশ্চর্যজনক সন্দেহ নেই ।"      - ক

নীল মানুষের কাহিনি - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

নীল মানুষের কাহিনি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় 'নীল মানুষের কাহিনি' গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর এখানে দোতলার বারান্দায় পাপু একা-একাই একটা বল নিয়ে খেলছিল। একবার বলটা রেলিং টপকে পড়ে গলে পেছনের মাঠে। পেছন দিককার মাঠটায় বড়-বড় ঘাস জন্মে গেছে। মাঠের ওপাশে বড় বড় গাছের একটা বাগান। সেখানে আম, জাম, লিচু গাছ ছাড়াও অনেকগুলো বাঁশ গাছ আছে। সেই বাঁশবনে নাকি রাত্তিরবেলা শাঁকচুন্নিরা আসে। তারা মাঝ রাত্তিরে নাকি সুরে শিয়ালের মতন গান গায়। এদিকে পাপুর একা যাওয়া নিষেধ। এখন কেউ দেখছে না বলে পাপু মাঠে নেমে এল বলটা খুঁজতে। কিন্তু বলটাকে দেখতে পেল না। নিশ্চয়ই ঘাসের মধ্যে লুকিয়েছে। বলগুলো মাঝে-মাঝে ইচ্ছে করে লুকিয়ে পড়ে। বলটা খুঁজতে খুঁজতে পাপু চলে এল বাগানের কাছে। তারপরই থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল। একটা বড় জামরুল গাছের পাশে লুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটা লোক। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাদের বাড়ির দিকে। পাপু প্রথমে ভেবেছিল নিশ্চয়ই লোকটা চোর। তারপরই মনে হল, চোর নয়, একটা দৈত্য। কিংবা বকরাক্ষস। লোকটা দৈত্যের মতনই লম্বা, মাথায় বড় বড় চুল, গায়ের রং একদম নীল। কোনও মানুষের রং ওরকম হয় না। জানলা-দরজা রং করার মতন কেউ

এদিকে পাপুর একা একা যাওয়া নিষেধ

 “এদিকে পাপুর একা একা যাওয়া নিষেধ” উদ্ধৃত অংশটি কার লেখা কোন গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে?  পাপু কে? পাপুর কোন দিকে যাওয়া নিষেধ ছিল এবং কেন? পাপু সেদিকে গিয়েছিল কেন? সেদিকে যাওয়ার পর কি ঘটেছিল সংক্ষেপে লেখো। উত্তর : ১) কোন লেখকের কোন গল্প? উদ্ধৃত অংশটি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘নীল মানুষের কাহিনি’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। ২) পাপু কে? পাপু এই গল্পের একটি কিশোর চরিত্র, যে তাদের দোতলার বারান্দায় বসে একা একাই বল নিয়ে খেলা করছিল।  ৩) যাওয়া নিষেধ ছিল কেন? পাপু যে বাড়ির দোতলার বারান্দায় বল নিয়ে খেলছিল, ঠিক তার পিছন দিকে ছিল বড় বড় ঘাস দিয়ে ঢাকা একটি মাঠ। মাঠের ওপাশে বড় বড় গাছে ভরা একটা বিশাল বাগান। সেখানে আম, জাম, লিচু গাছ ছাড়াও অনেকগুলো বাঁশ গাছ ছিল। শোনা যায়, সেই বাঁশ বনে নাকি রাত্রিবেলায় শাকচুন্নিরা আসে। মাঝরাত্রে তারা নাকি নাকি-সুরে শেয়ালের মত গান গায়। মাঠের ওপাশে থাকা এই বন নিয়ে নানা ধরণের ভয় ধরানো গল্প প্রচলিত ছিল। আর এই ভয় ধারানো গা ছমছমে পরিবেশের কারণেই ছোট্ট পাপুর এই মাঠে নামা কিংবা বাগানের ধারে যাওয়া নিষেধ ছিল। ৪) তবু পাপু গেল কেন? নিষেধ থাকা সত্ত্বেও পাপু এ