এখানে তুমি বাঁচতে পারবে না।”
- কে কাকে উদ্দেশ্য করে এই সাবধান বাণী শুনিয়েছিল?
- তারা কেন এমন পরামর্শ দিয়েছিল?
- তাদের এই পরামর্শ কতটা সত্য ছিল ‘নীল মানুষের কাহিনি’ অবলম্বনে লেখো।
- যাকে উদ্দেশ্য করে এই সাবধান বাণী শোনানো হয়েছিল তার শেষ পরিণতি কী হয়েছিল?
উত্তর :
১) কে কাকে উদ্দেশ্য করে এই সাবধান বাণী শুনিয়েছিল?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা নীল মানুষের কাহিনি গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে উদ্ধৃত অংশটি. এই গল্পের প্রধান চরিত্র রণজয়। সে ভিমগ্রহের কিছু মানুষের সংস্পর্শে আসায তার শরীরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন এসেছে, যা সাধারণ মানুষ গ্রহণ করতে পারেনি। এই ভিনদেশের ভিনগ্রহের প্রাণীরা রণজ্য়কে রণবীরকে উদ্দেশ্য করে এই সাবধান বাণী শুনিয়েছিল।
২) তারা কেন এমন পরামর্শ দিয়েছিল?
ভিনগ্রহের প্রাণীরা জানতো, তাদের সঙ্গে পৃথিবীর মানুষের কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। বিশেষ করে দৈহিক চেহারার বিরাট পরিবর্তন সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে নেবেনা। ফলে তার পক্ষে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা অসম্ভব হয়ে উঠবে। এমনকি প্রাণ সংশয় হওয়ারও যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। মূলত এই কারণেই তারা তাকে এই পরামর্শ দিয়েছিল.
৩) তাদের এই পরামর্শ কতটা সত্য ছিল ‘নীল মানুষের কাহিনি’ অবলম্বনে লেখো।
তদের এই আশঙ্কা মোটেই অমূলক ছিল না। এবং সেটা রণজয় খুব শীঘ্রই বুঝতে পারে। পরিবর্তিত চেহারায় যখন সে তার হবু স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যায়, তখনই তা ভয়ংকর চেহারা নেয়। চিত্রার পরিবার সহ নিশানপুর গ্রামের সবাই তাকে মানুষ নয়, একটি ভয়ংকর জন্তু হিসাবে চিহ্নিত করে। শুধু তাই নয়, এর পূর্বে সে তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে গেলে ভয়ে তার বাবাও অজ্ঞান হয়ে যায়। এই সব ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয়, তাদের আশংকা কতটা সত্য ছিল।
৪) যাকে উদ্দেশ্য করে এই সাবধান বাণী শোনানো হয়েছিল তার শেষ পরিণতি কী হয়েছিল?
রণজয়ের শেষ পরিণতি কী হয়েছিল, আলোচ্য গল্পে তা পরিষ্কার করে বলা হয়নি। তবে তার আভাস পাওয়া যায় যখন সে অনেক চেষ্টা করেও কাউকে বিশ্বাস করাতে পারেনি যে, সে একজন মানুষ, দৈত্য নয়।
প্রকৃতপক্ষে সে চিত্রার বাড়িতে গিয়েছিল নিজের পরিচয় দিয়ে সমাজে ফিরে আসতে এবং একজন স্বাভাবিক মানুষ হিসাবে বেঁচে থাকতে, তখন তার যে পরিণতি হয়েছিল, তাতেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে, এই মনুষ্য সমাজে তার আর ফেরা হবে না।
তবুও সে হাল ছাড়েনি। খাবারের খোঁজে সে যখন হন্যে হয়ে ঘুরছে, তখনও সে মনুষত্ব বোধ হারিয়ে ফেলেনি। তার দিকে তেড়ে আসা মানুষকে খুন করেনি, যা সে অনায়াসে পারত। রাতের অন্ধকারে অন্যের ঘরে ঢুকে খিচুড়ি রান্না করে খেয়েছে বটে, কিন্তু কোন জিনিস সে চুরি করেনি। উন্টে চোরকে ধরে বেঁধে রেখে এসেছিল এই ভেবে যে তার রেখে আসা চিঠি পড়ে হয়তো মানুষ বুঝবে, চেহারা পাল্টালেও তার মধ্যে টাকা মানুষটা পাল্টে যায়নি।
Comments
Post a Comment